১. বিসনি আন্দোলন : প্রায় ৪০০ বছর আগে এইরকম এক আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন সাজে বা সগে নামক একজন ঋষি। এই দিনটির স্মরণে আজও রাজস্থানে বৃক্ষকে দেবতা জ্ঞানে পূজা করা হয়। এই আন্দোলনের ধারা বজায় রেখে অরণ্যবিনাশ, গাছকাটা প্রভৃতি পরিবেশ প্রতিকুল কার্য্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
২. চিপকো আন্দোলন : অরণ্যবিনাশ, গাছকাটা প্রভৃতি পরিবেশ প্রতিকুল কার্য্যকলাপের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় ১৯৭৩ সালে উত্তারাখন্ডে। নেতৃত্বে ছিলেন - সুন্দরলাল বাহুগুনা, গৌরী দেবী এবং চন্ডি প্রসাদ।
৩. নর্মদা বাচাও আন্দোলন : মেধা পাটেকার, বাবা অমতে এবং অরুন্ধতি রায় এদের নেতৃত্বে এই আন্দোলন সূচিত হয়। নর্মদা নদীর ওপর সর্বার্থসাধক জলাধার তৈরির বিরুদ্ধে এই আন্দোলন করা হয়। আন্দোলনকারী দের মতে এই জলাধার নির্মানের ফলে দেখা দিতে পারে বন্যা এবং জল জমা যা হয়েত ১ লক্ষ পরিবারের ক্ষতি করতে পারে। যদিও জলাধারের সপক্ষে যারা ছিলেন তাদের মতে এই জলাধারের মূল উদ্দেশ্য হল চাষের এবং পানীয় জল সরবারহ , বন্যা প্রতিহত করা এবং পশু পাখি সংরক্ষণ।
৪. সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন : কুথিপুজ্হা নামক স্থানে এই আন্দোলন সংগঠিত হয় পেরিয়ার নদীর ওপর বাঁধ নির্মানের বিরুদ্ধে। এই কাজে প্রচুর বন জঙ্গল কেটে নষ্ট করা হয় যা ছিল বিভিন্ন পরজাতির উদ্ভিত এবং প্রাণীর আশ্রয়। তবে বাঁধ বানানোর উদ্দ্যেশ্য হলো হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট।
৫. বালিয়াপাল আন্দোলন : অস্ত্র মূলতঃ মিসাইল পরীক্ষণের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন হয়। গ্রামবাসীদের মতে এই রকম পরীক্ষার ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়
0 Comment to "কয়েকটি পরিবেশ আন্দোলন"
Post a Comment