Showing posts with label miscellaneous. Show all posts
Showing posts with label miscellaneous. Show all posts

Saturday, 5 September 2015

সংক্ষিপ্ত শব্দের পূর্ণরূপ


১। Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity.
২। HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol.
৩। HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol Secure.
৪। URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator.
৫। IP এর পূর্ণরূপ— Internet Protocol
৬। VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information Resource Under Seized.
৭। SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module.
৮। 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation.
৯। GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile Communication.
১০। CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple Access.
১১। UMTS এর পূর্ণরূপ — Universal Mobile Telecommunication System.
১২। RTS এর পূর্ণরূপ — Real Time Streaming
১৩। AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave
১৪। SIS এর পূর্ণরূপ — Symbian OS Installer File
১৫। AMR এর পূর্ণরূপ — Adaptive Multi-Rate Codec
১৬। JAD এর পূর্ণরূপ — Java Application Descriptor
১৭। JAR এর পূর্ণরূপ — Java Archive
১৮। MP3 এর পূর্ণরূপ — MPEG player lll
১৯। 3GPP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Partnership Project
২০। 3GP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Project
২১। MP4 এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 video file
২২। AAC এর পূর্ণরূপ — Advanced Audio Coding
২৩। GIF এর পূর্ণরূপ — Graphic Interchangeable Format
২৪। BMP এর পূর্ণরূপ — Bitmap
২৫। JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic Expert Group
২৬। SWF এর পূর্ণরূপ — Shock Wave Flash
২৭। WMV এর পূর্ণরূপ — Windows Media Video
২৮। WMA এর পূর্ণরূপ — Windows Media Audio
২৯। WAV এর পূর্ণরূপ — Waveform Audio
৩০। PNG এর পূর্ণরূপ — Portable Network Graphics
৩১। DOC এর পূর্ণরূপ — Document (Microsoft Corporation)
৩২। PDF এর পূর্ণরূপ — Portable Document Format
৩৩। M3G এর পূর্ণরূপ — Mobile 3D Graphics
৩৪। M4A এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 Audio File
৩৫। NTH এর পূর্ণরূপ — Nokia Theme(series 40)
৩৬। THM এর পূর্ণরূপ — Themes (Sony
Ericsson)
৩৭। MMF এর পূর্ণরূপ — Synthetic Music Mobile Application File
৩৮। NRT এর পূর্ণরূপ — Nokia Ringtone
৩৯। XMF এর পূর্ণরূপ — Extensible Music File
৪০। WBMP এর পূর্ণরূপ — Wireless Bitmap Image
৪১। DVX এর পূর্ণরূপ — DivX Video
৪২। HTML এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Markup Language
৪৩। WML এর পূর্ণরূপ — Wireless Markup Language
৪৪। CD এর পূর্ণরূপ — Compact Disk.
৪৫। DVD এর পূর্ণরূপ — Digital Versatile Disk.
৪৬। CRT — Cathode Ray Tube.
৪৭। DAT এর পূর্ণরূপ — Digital Audio Tape.
৪৮। DOS এর পূর্ণরূপ — Disk Operating System.
৪৯। GUI এর পূর্ণরূপ — Graphical User Interface.
৫০। ISP এর পূর্ণরূপ — Internet Service Provider.
৫১। TCP এর পূর্ণরূপ — Transmission Control Protocol.
৫২। UPS এর পূর্ণরূপ — Uninterruptible Power Supply.
৫৩। HSDPA এর পূর্ণরূপ — High Speed Downlink
Packet Access.
৫৪। EDGE এর পূর্ণরূপ — Enhanced Data Rate
for GSM [Global System for Mobile
Communication]
৫৫। VHF এর পূর্ণরূপ — Very High Frequency.
৫৬। UHF এর পূর্ণরূপ — Ultra High Frequency.
৫৭। GPRS এর পূর্ণরূপ — General Packet Radio
Service.
৫৮। WAP এর পূর্ণরূপ — Wireless
Application Protocol.
৫৯। ARPANET এর পূর্ণরূপ — Advanced
Research Project Agency Network.
৬০। IBM এর পূর্ণরূপ — International Business
Machines.
৬১। HP এর পূর্ণরূপ — Hewlett Packard.
৬২। AM/FM এর পূর্ণরূপ — Amplitude/
Frequency Modulation.
৬৩। WLAN এর পূর্ণরূপ — Wireless Local Area
Network
৬৪। USB এর পূর্ণরূপ — Universal Serial Bus.

Friday, 4 September 2015

A report on the occasion of Teachers' Day


‘‘A great teacher is like a candle— it consumes itself to light the way for others.’’
আমাদের শিক্ষানবিশী চলতেই থাকে। জীবনভর। আমরা প্রতিদিন শিখি। যাপন ও জীবনের রোজনামচা আমাদের প্রায় প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় কত কিছু যে শিখতে বা শিখে নিতে বাধ্য করে। আমরা ঠেকে শিখি। ঠকে শিখি। ভুল করি বিস্তর। আবারও ঠিক করে ফেলি। পরবর্তী অভিজ্ঞতালব্ধ জীবনে ছাত্রাবস্থায় শেখা অনেক ভাল জিনিস কাজে লাগে। অনেক কিছু কিন্তু আবার লাগেও না। আমাদের ছাত্রাবস্থায় সেই শেখাটা কিন্তু ঠিক ছিল—কিন্তু নানা প্রতিকুলতা ও চাপের কাছে হয়তো সে আদর্শের কাছে নতিস্বীকার করতে হয়েছে। দেওয়ালে কখনও পিঠ ঠেকে গেলে এও মনে হয়েছে, ধ্যুস জীবনে কিছুই শেখা হল না আজও।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর, শনিবার ‘শিক্ষক দিবস’। শিক্ষকদিবস নিয়ে আগামী প্রতিবেদনের মকসো করতে করতে ভাবি, সে ভাবে বলতে গেলে নার্সারি বা স্কুলে ভর্তি জীবনের আগে পর্যন্ত তো আমরা বাড়িতেই অ আ ক খ বা ইংরাজি বর্ণমালা, ১ থেকে ১০০, ছড়া, রং চেনা, পশুপাখিদের ছবি দেখে চিনতে শেখা, রামায়ণের গল্প আরও কত কি বাড়িতেই শিখে যাই বাবা মায়ের কাছ থেকেই। হামাগুড়ি বয়স থেকেই হাঁটতে শেখা, কথা বলতে শেখা সবই তাদের কাছেই। এক্কেবারে কচি বয়স থেকে আমাদের শিক্ষার হাতেখড়ি তাদের হাত ধরেই। আমাদের বাবা ও মা-ই আমাদের প্রথম ও পরম গুরু। জীবনযাপনের অন্যতম শিক্ষক।
পরবর্তীতেও প্রিয় শিক্ষক তাঁরাই। তাঁদের স্নেহে, প্রশ্রয়ে, শিক্ষায়, সহমর্মিতায়, মরমী সমালোচনায়, চরিত্র গঠনের দৃঢ় শিক্ষায় আমরা ঋদ্ধ হতে থাকি ক্রমশ। আমাদের প্রতিটি আচরণের বহির্প্রকাশ ঠিক কী হবে, শিশুবয়স থেকেই উচিত-অনুচিতের বোধ আমরা শিখতে থাকি তাদের কাছেই। আমাদের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ, আমাদের দায়বদ্ধতা বিশ্বাস, অন্যকে মাণ্যতা দেওয়া, গুরুজনকে সম্মান জানানো, নিজেদের পারিবারিক রীতিকে মর্যাদা দেওয়া, রক্ষণশীলতাকে টিকিয়ে রাখা এই সমস্ত কিছুই শিখি বাড়ির গুরুজন অভিভাবকদের থেকেই। আমাদের আদর্শ আমাদের চরিত্রগঠন সব কিছুর প্রাপ্তি তাঁদের থেকেই। শিক্ষকদিবসের প্রাক্কালে বাবা-মা-কেই অন্যতম প্রারম্ভিক শিক্ষক তথা গুরু হিসেবে স্মরণ করে প্রণতি জানাতেই পারি—
‘‘গুরু সাক্ষাৎ পরম ব্রহ্ম
তস্মে শ্রী গুরুবে নমঃ’’
ফিরে আসি শিক্ষকদিবস প্রসঙ্গে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ‘শিক্ষকদিবস’। ডঃ সর্বপল্লিরাধাকৃষ্ণণের জন্মজয়ন্তী। দেশের অগণিত শিক্ষকদের আদর্শগত মহান কর্মকাণ্ডের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁদের পেশাগত অবদানকে স্মরণে-বরণে শ্রদ্ধায় পালন করার জন্য সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মহান শিক্ষক পালন করার রীতি রয়েছে। নির্দৃষ্ট দিনটি বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে পালন করা হয়ে থাকে। যেমন বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ৫ অক্টোবর, ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। UNICEF থেকেও, ৫ অক্টোবর দিনটিই ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবসের’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের সর্বমোট ১৯টি দেশে অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ ‘টিচার্স ডে’ পালিত হয়। দেশগুলি হল—কানাডা, জার্মানি, বুলগেরিয়া, আর্জেবাইজান, ইস্তোনিয়া, লিথোনিয়া, ম্যাকেডোনিয়া, মলদ্বীপ, নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কুয়েত, কাতার, রাশিয়া, রোমানিয়া, সার্বিয়া, ইংল্যান্ড, মাউরেটিয়াস, মলদোভা। আবার বিশ্বের অন্য ১১টি দেশে ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস চালু। দেশগুলি হল মরক্কো, আলজেরিয়া, টিউনেশিয়া, লিবিয়া, ইজিপ্ট, জর্ডন, সৌদিআরব, ইয়েমেন, বাহরেইন, ইউ এ ই, ওমান। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর থেকে ইউনেস্কো দ্বারা ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ দিনটি সূচিত হয়। এটি সারা দেশ-বিদেশে ‘শিক্ষক’ পেশাজীবীদের জন্য সেরা সম্মান। পরবর্তী প্রজন্মও যাতে কার্যকরী ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটি পালন করে সেটাও উদ্দেশ্যা। এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল মনে করে, জাতীয় স্তরে সমগ্র বিশ্বেই একটি বিশেষ দিনকে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি—যেটি সমাজ-সংস্কার-শিক্ষায় শিক্ষকদের উপযুক্ত মাণ্যতা দান করার যোগ্য দিন।
আমাদের দেশে ভারতের ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ এর জন্মদিন ৫ সেপ্টেম্বর বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে ‘শিক্ষক দিবস’ হিসাবে পালিত হয়। ‘ভারতরত্ন’ উপাধি বিভূষিত প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ। মহান দার্শনিক, আদর্শবান বিচারক ছিলেন ডঃ রাধাকৃষ্ণণ। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। তিনি ছিলেন বাগ্মী, অধ্যাপক, রাজনীতিবিদ এবং অদ্বৈত বেদান্ত বাদ রচয়িতা দার্শনিক।
শোনা যায়, তাঁর কিছু প্রিয় ছাত্র ও অধ্যাপক বন্ধুবান্ধব, তাঁর জন্মদিন পালন করতে আগ্রহান্বিত হলে—রাধাকৃষ্ণণ তাঁদের বলেছিলেন, ‘‘আমার জন্মদিন পৃথক ভাবে পালন না করে আমি গর্বিত হব, দিনটি যদি দেশের সমস্ত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে পালন করা হয়।’’
পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন, ‘‘He has served his nation in many capacities. but above all he is a great teacher from whom all of us have learnt much and will continue to learn.’’
সমাজে শিক্ষকদের সম্মান ও অবদানের জন্য ১৯৬২ সাল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের পঞ্চম দিনটি নির্দৃষ্ট করে, স্কুল-কলেজে নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়। প্রধানত ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাকে উপহার দেয়। শিক্ষকরাও তাদের আশীর্বাদ স্বরূপ মিষ্টিমুখ করান। বস্তুত একজন ছাত্রছাত্রীর জীবনে যোগ্য শিক্ষকের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ শিক্ষকই পারেন তার ছাত্রকে নিশ্চিত রূপে আদর্শগত ভাবে রূপান্তর করতে। একজন যথার্থ শিক্ষকই পারেন তাঁর ছাত্রের মধ্যে যথাযথ মনন বুদ্ধি চিন্তাকে বাস্তব রূপে প্রতিফলিত করতে। এবং আগামী জীবনযাত্রায় প্রতিটি উপযুক্ত জীবিকা ও সৎ নাগরিক তথা মানুষ গড়ার কারিগর তাঁরাই।
ব্যক্তিগত কথন বলি, মেয়েবেলা যে স্কুলে কেটেছে—ইদানীং ফেসবুকের দৌলতে স্কুলের সমকালীন বান্ধবীদের মুখে জেনেছি সে সেখানকার শিক্ষিকাদের মধ্যে অনেকেই এখন আর ইহজগতে নেই। সেই প্রতিটি শিক্ষিকার কথা যখন কখনও কোনও বিশেষ কথাপ্রসঙ্গে মনে পড়ে যায়, গলার কাছে দলা পাকানো কষ্টটা এসে ধাক্কা মারে। কী কঠোর অনুশাসনে স্কুলজীবন কেটেছিল। স্কুলের পরিচালন সমিতি ও প্রধান শিক্ষিকার কড়া নিয়মনীতি মেনে চলতে হত। সব জায়গা। সব স্কুলেই যেমন হয় আর কী। স্কুলের লোহার প্রধান ফটক যেন জেলখানার গারদ আর আমরা স্কুলভর্তি কিশোরী সেই স্কুল নামক জেলখানার ছয় ঘণ্টার কয়েদি। ঘড়ির কাঁটা দশটার ঘরে পৌঁছানোর খানিক আগেই স্কুলের প্রার্থনাকক্ষে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ইউনিফর্ম পড়া ছাত্রীরা ও প্রধানশিক্ষিকা-সহ প্রতিটি সহ-শিক্ষিকার উপস্থিতিতে সমবেত কণ্ঠে প্রার্থনা ও দেশবিদেশের মনীষীদের বাণী পাঠ। আমরা আমাদের শিক্ষিকাদের চোখ রাঙানিতে তটস্থ থাকতাম। ক্লাসে পড়ানোর ধরন এক একজন শিক্ষিকার নিজস্বতা থাকত। আমরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়া শুনতাম। পড়া বুঝে নিতাম। ক্লাস টেস্ট ও টিউটোরিয়াল ক্লাসগুলিতে তটস্থ থাকতাম শিক্ষিকাদের চোখ রাঙানির কাছে। প্রধানশিক্ষিকা সহ-শিক্ষিকারা প্রত্যেকেই ছিলেন বাড়ির প্রকৃত অভিভাবকের মতো। অত্যন্ত স্নেহশীলা অথচ প্রয়োজনে ভীষণ কঠোর ব্যক্তিত্ব। সরস্বতী পুজোর দিন আমাদের স্কুলছাত্রীদের এক্কেবারে পাত পেতে খিছুড়ি ভোগ পরিবেশন করতেন শিক্ষিকারা। বেশ আনন্দময় পরিমণ্ডল যাকে বলে। আমরাও এলিট স্কুলের সমস্ত রকম নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতাম। পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা ভাল করা থেকে বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরাজি গ্রামারের ভিত গড়ে দেওয়া, ইতিহাস ভুগোল বা জ্যামিতি প্রায় ছবির মতো বুঝিয়ে দেওয়া, অঙ্কের জটিল তত্ত্বগুলিকে ক্লাসের ব্ল্যাক বোর্ডে লিখে ভেঙে ভেঙে বুঝিয়ে দেওয়া। রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞানকে ভালবাসতে শেখানো। সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ ও আমাদের মধ্যে সাহিত্যের বীজ বুনে দেওয়া—আমাদের স্কুলের শিক্ষিকারাও ছিলেন ছাত্রীদের জন্য নিবেদিত প্রাণ। বিদ্যালয়ে ফি বছর পাঁচ ছয়বার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। এ ছাড়া প্রজাতন্ত্র দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের নানান কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান প্যারেড এ সব তো হতই শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতাম। আর সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ গান নাটকে, আমাদের শিক্ষিকারাই নিজের হাতে যত্ন করে আমাদের সাজিয়ে দিতেন। আমাদের কারও পুরুষ চরিত্র অভিনয় বা নাচ থাকলে, ধুতি পরিয়ে, নাকের নীচে কাজল পেনসিল দিয়ে গোঁফ এঁকে, চুল আঁচরিয়ে সাজিয়ে দিতেন। অর্থাৎ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গ্রীনরুমের দায়িত্বটা শিক্ষিকারাই সামলে দিতেন। সে সময়টায় সুন্দর বন্ধুর মতো মিশে যেতেন আমাদের সঙ্গে। অন্যসময় কী ভয়ঙ্কর ভয়টাই না পেতাম ওঁনাদের। ক্লাসে একটু অন্যমনস্ক হয়েছি, ওঁনাদের শ্যেন দৃষ্টির নজর এড়াতো না। ক্লাসে হোমওয়ার্ক অসমাপ্ত থাকলে বা অযথা বানান ভুল, টিউটোরিয়ালে কিছু কম নম্বর—এ সব কারণে মৃদু ধমকধামক। অথচ ভালবাসতেন সন্তানের মতো। পরে ভেবে দেখেছি, আপাত রাগী রাগী ইমেজটা ছিল ওঁনাদের মুখোশ মাত্র। অন্তরে সুনিবিড় স্নেহ-ছায়া। আমরাও স্কুলভর্তি সমস্ত শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা একটা স্বচ্ছ নিটোল পরিবার হয়ে যেতাম। মনে পড়ে গেল স্কুল জীবনে অন্তিম দিনটির কথা। মঞ্চে প্রধান শিক্ষিকা আমাদের সবার উদ্দেশ্যে বিদায়ী ভাষণ দিচ্ছেন। তার আগেই এক ক্লাস নীচের স্টুডেন্টরা গেয়েছে, ‘‘জয়যাত্রায় যাও গো ওঠো ওঠো জয়রথে তব, জয়যাত্রায় যাও গো।’’ আমাদের প্রত্যেকের হাতে অভিজ্ঞানপত্র ও ফুলের তোড়া ও বিবেকানন্দের বই। সবই প্রধানশিক্ষিকা আমাদের হাতে একে একে তুলে দিয়েছেন। প্রধানশিক্ষিকার বিদায়ী ভাষণ এ দিকে আমাদের হাপুস নয়নে কান্না। সে কান্না আর থামতে চায় না। ও দিকে প্রধানশিক্ষিকা-সহ অন্যান্য প্রতিটি শিক্ষিকার চোখের কোনায় জল।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমাদের নিজস্ব গণ্ডিটাও তো ক্রমশ পরিধি ব্যপ্ত হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টির প্রায় প্রতিটি স্যর ম্যামদের প্রগাঢ় ব্যক্তিত্বের প্রগাঢ় ব্যক্তিত্বের কাছে তখন বাধ্য কুশীলব। তবে এখন যা অভ্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থা ও কলেজ ছাত্রছাত্রীদের বচসা, তাণ্ডব মারদাঙ্গার পরিবেশ প্রতিদিন প্রায় কাগজে পড়ি বা টেলিভিশনের লাইভ টেলিকাস্ট বা ব্রেকিং নিউজে আখচার দেখি। আমাদের পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে এখন নৈরাজ্য রক্তক্ষয় ভয়াবহ আকারে দেখছি কখনও। দূষিত হয়ে যাচ্ছে স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির পরিবেশ। যারপরনাই অবাক হতে হয় দুই যুযুধান দলের সংঘর্ষ ও তাণ্ডবলীলা দেখে দেখে। অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে বিষম বিরোধিতা দেখি। নির্বিঘ্নে পঠনপাঠনের সুস্থ পরিবেশ কলুষিত। ‘ছাত্রানং অধ্যয়ন্দং তপঃ’ এই প্রবাদটি আজ যেন অতীত। আবার কলেজে ছাত্র নিরাপত্তাহীনতা অসন্তোষ এ সবও লেজর হয়ে জুড়ে আছে। আমরা অধ্যাপক অধ্যাপকদের যে সমীহ ও সম্মানের নজরে দেখতাম—সে আজ কোথায়?
প্রসঙ্গত আবারও ব্যক্তিকথনে ফিরে যাই, কিশোরীবেলায় গানের দিদিমণি, ছবি আঁকার স্যার, আমরা প্রতিটি গৃহশিক্ষক, অধ্যাপক—এ জীবনের সবার কাছেই কত যে ঋণ থেকে গেল। আরও পরে, আমি নিজেই যখন আমার স্নাতকোত্তর অভিজ্ঞতায় উঁচু ক্লাসের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীকে দর্শনশাস্ত্র পড়াতাম কিছুকাল ও পাড়ার বাচ্চাদের আঁকা শেখানোর টিউশানি করেছি—মানে আমি নিজেও যখন কমবয়েসীদের কাছে ‘শিক্ষিকা’ বা ‘মিস’ পদবাচ্য—‘শিক্ষকদিবসের’ এই বিশেষ দিনটিতে খুদে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে দেদার উপহার পেয়েছি। কেউ বা একক ভাবে, পকেটমানি থেকে বা বাবা-মা-র কাছে আমার জন্য আব্দার করে গিফট কিনে এনেছে। আবার উঁচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সমবায় ভাবে চাঁদা তুলে শিক্ষকদিবসে আমার জন্য উপহার এনেছে। তাদের সে উপহার দেওয়ার জন্য সম্মান ছিল, নির্ভরতা ছিল, ভালবাসা ছিল, ছেলেমানুষী ছিল আর ছিল টিচারের সঙ্গে মিষ্টি একটা সম্পর্ক। কত কী যে অমুক তমুক উপহার দিতে খুদেরা, বই পেন ফুল এ সব তো ছিলই। এ ছাড়াও ক্যাডবেরি ডেয়ারি মিল্ক, ডিজাইনারডিজাইনার বালা, ফ্যাশনেবল কানের দুল, শো পিস, শৌখিন কফি মগ, হাতে বানানো ওয়াল হ্যাঙ্গিং, ছোট্ট সফট টয়েজ বা শৌখিন চাবির রিং, ডায়েরি ইত্যাদি। এমন কী নিজেদের পকেটমানি এক সঙ্গে জুড়ে রবীন্দ্রগানের সিডি বা পারফিউমও। এত দিন পর শিক্ষকদিবস নিয়ে লিখতে বসে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি।
যতদূর চোখ যায় এ গল্প থেকে সে গল্প। আমরা বার বার পেছন ফিরি। শিক্ষকদিবস নিয়ে লিখতে বসে ধুলো ঝাড়পোঁচ করে পেছনে ফিরে তাকানো। কখনও পুরনো স্মৃতিকাতরতা উথলে উঠে। ফেলে আসা স্কুলজীবনের জন্য মন কেমন। আবারও এই লেখার হাত ধরেই ফিরে দেখা। স্কুলের শিক্ষিকাদের নতুন করে দেখা। ডাউন মেমরি লেন ধরে হাঁটতে হাঁটতে একাকী দেখা হয় নিদের সঙ্গে। হারিয়ে যাই। আনন্দ-বেদনার মনকেমন কষ্টটা টের পাই।
কিশোরীবেলায় ছায়া ও বিষাদের ঘ্রাণ মাখা মনকেমনের বারান্দায় খানিক হেলান দিয়ে বসি। মন খারাপের বাতাস বইলেই চোখ ছলছল। পুরতনী গান যেন সুর ভাঙে মনে। কিছুই যেন বিম্বিত হয় না এ চোখে।
জাপানের একটা প্রচলিত প্রবাদ হল—‘‘Better than a thousand days of dilligent study is one day with a great teacher’’.
এ কথা বহুলাংশে সত্যি যে শিক্ষকতা এমনই এক পেশা যাকে একসময় বলা হত সব পেশার চেয়ে অন্যতম। তবে দিনকাল বদলেছে। অতীতের গুরুকুলে শিক্ষা, ব্রহ্মচর্য পালন এ সব বহু পুরাতন অতীত। সেই সুচারু শিক্ষাব্যবস্থার প্রচণ্ড অবনতি হতে দেখেছি কত মান পড়ে যাচ্ছে। সমালোচনাপ্রবণ দুর্মুখরা এও বলে থাকেন, শিক্ষকরা বছরে পাঁচ মাস প্রায় সবেতন ছুটি ভোগ করেন। বেতনও প্রচুর। প্রাইভেট টিউশনেও দ্বিগুণ আয়। এখন নাকি অতিরিক্ত সরকারি খবরদারির ফলে শিক্ষকরা তাঁদের পেশাকে আর পাঁচটা চাকরির মতোই পেশাগত দৃষ্টিতে দেখেন।
সে যাই হোক। শিক্ষকদিবস আমাদের কাছে আজও একটা মহান দিবস হিসেবেই সূচিত হয়। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল সেই কারণেই কবেই বলে গেছিলেন—‘‘যাঁরা শিশুদের শিক্ষাদানে ব্রতী তাঁরা অবিভাবকদের থেকেও অধিক সম্মাননীয়। পিতামাতা আমাদের জীবনদান করেন ঠিকই। শিক্ষকরা সেই জীবনকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন।

Content By -

New Town, Kolkata

বরাহমিহির - প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞানী

বরাহমিহির


 এই নামটি আমরা অনেকে শুনেছি, অনেকে হয়ত শুনিনি।অথচ উনি শুধু ভারতের না সমস্ত বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম।কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা তার সম্পর্কে কিছুই জানি না।আসুন আজ এই মহতিপ্রান বিজ্ঞানীর কথা আপনাদের কে বলব। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে এই বিস্মৃতপ্রায় বিজ্ঞানীর কথা জানিয়ে দিন।
বরাহমিহির প্রাচীন ভারতের গুপ্ত সাম্রাজ্যের সমসাময়িক (আনুমানিক ৫০৫ - ৫৮৭) একজন বিখ্যাত দার্শনিক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও কবি। তিনি পঞ্চসিদ্ধান্তিক নামের একটি মহাসংকলনগ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তার জীবদ্দশার সময়কার গ্রিক, মিশরীয়, রোমান ও ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের সার লিপিবদ্ধ হয়েছে। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় বিজ্ঞানীদের অন্যতম। জ্যোতির্বিজ্ঞান ছাড়াও গণিতশাস্ত্র, পূর্তবিদ্যা, আবহবিদ্যা, এবং স্থাপত্যবিদ্যায় পণ্ডিত ছিলেন। তিনি কলা ও বিজ্ঞানের প্রায় সমস্ত শাখায় ব্যাপক অবদান রাখেন। উদ্ভিদবিদ্যা থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞান, সামরিক বিজ্ঞান থেকে পুরাকৌশল --- জ্ঞানের সমস্ত ক্ষেত্রেই ছিল তাঁর স্বচ্ছন্দ পদচারণা।
ভারতের নয়াদিল্লীতে অবস্থিত সংসদ ভবনে বরাহমিহিরের সম্মানে একটি দেয়ালচিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
এই মনীষীর জন্ম ভারতের অবন্তিনগরে (বর্তমান উজ্জয়িনী)। গুপ্ত রাজা বিক্রমাদিত্যের সভার নবরত্নের অন্যতম হিসেবে তিনি স্বীকৃত। ভারতীয় পঞ্জিকার অন্যতম সংস্কারক ছিলেন তিনি। তিনিই বছর গণনার সময় বৈশাখকে প্রথম মাস হিসেবে ধরার প্রচলন করেন। আগে চৈত্র এবং বৈশাখকে বসন্ত ঋতুর অন্তর্গত ধরা হতো। পৃথিবীর আকার এবং আকৃতি সম্বন্ধে তার সঠিক ধারণা ছিল। তার জন্ম ৫৮৭ ধরা হলেও কারও কারও মতে তা ৫৭৮।
বরাহমিহির ছিলেন শক জাতিভুক্ত। সেসময় আফগানিস্তান, পাঞ্জাব, সিন্ধু ও রাজপুতানা (বর্তমান রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ) নিয়ে গঠিত এক বিরাট এলাকা জুড়ে শকস্তান নামের এক রাজ্য অবস্থিত ছিল। শকরা ছিল মূলত পূর্ব ইরান থেকে আগত একটি গোত্র। মিহির নামটি ফার্সি "মিথ্রা" শব্দ থেকে এসেছে। ভারতের প্রাচীন মথুরা রাজ্যের নামও এই ফার্সি শব্দটি থেকে এসেছে।
বরাহমিহির তিনটি প্রধান গ্রন্থ রচনা করেন: পঞ্চসিদ্ধান্তিকা, বৃহৎসংহিতা ও বৃহজ্জাতক।
পঞ্চসিদ্ধান্তিকা: ৫৫০ খ্রিস্টাব্দে রচিত হয়। পাঁচটি খণ্ড নিয়ে গঠিত এই বইটিকে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের সংক্ষিপ্তসার বলে চিহ্নিত করা যেতে পারে। পাঁচটি খণ্ড হচ্ছ: সূর্যসিদ্ধান্ত, রোমকসিদ্ধান্ত, পৌলিশসিদ্ধান্ত, পৈতামহসিদ্ধান্ত এবং বাশিষ্ঠসিদ্ধান্ত। আরব দার্শনিক আল খোয়ারিজমি সূর্যসিদ্ধান্ত দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আল জাবর ওয় আল মুকাবলা রচনা করেন বলে মনে করা হয়।
বৃহৎসংহিতা: একটি প্রসিদ্ধ জ্যোতিষ গ্রন্থ যা পদ্য আকারে লিখা। এতে তিনি জ্যোতিষী দৃষ্টিকোণ থেকে বহু পাথরের বিবরণ এবং পাক-ভারতের ভৌগোলিক তথ্য সন্নিবেশিত করেন। এছাড়াও এতে সূর্য ও চন্দ্রের গতি ও প্রভাব, আবহবিদ্যা, স্থাপত্য এবং পূর্তবিদ্যার নানা বিষয় প্রসঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচিত হয়েছে। এই বইয়েই তিনি ব্রজলেপ নামে একটি বস্তুর প্রস্তুতপ্রণালী ব্যাখ্যা করেছেন যা আধুনিককালের সিমেন্টের সমগোত্রীয় ছিল। সে সময় ভারতে বরাহমিহির উদ্ভাবিত এই ব্রজলেপ দিয়েই বড় বড় দালান কোঠার ইটের গাঁথুনি তৈরীতে ব্যবহৃত হতো।
বৃহজ্জাতক: জ্যোতিষবিদ্যার উপর একটি গ্রন্থ।
বরাহমিহিরকে আধুনিক ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তাঁর আগে ভারতবর্ষের জ্যোতিবির্জ্ঞানের মূল গ্রন্থ ছিল বেদাঙ্গ জ্যোতিষ, যা খ্রিস্টপূর্ব ১৪শ শতকে রচিত হয়েছিল। এটি অনুসারে ৬৭টি চান্দ্র মাস নিয়ে গঠিত পাঁচ বছরে একটি যুগ হয় এবং এটিতে রাহু ও কেতু নামের দুইটি ধারণা দিয়ে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। বেদাঙ্গ জ্যোতিষ প্রায় ১৫০০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রধান আকরগ্রন্থ (reference) ছিল। কিন্তু বরাহমিহির তাঁর সূর্যসিদ্ধান্ত নামক রচনাতে যে সূর্যকেন্দ্রিক ব্যবস্থার কথা বর্ণনা করেন, তা ছিল অনেক বেশি সঠিক। ফলে এর পর থেকে ভারতে তাঁর বর্ণিত ব্যবস্থাটিই প্রচলিত হয়ে যায়।
পশ্চিমা জ্যোতির্বিজ্ঞান বরাহমিহিরের জ্ঞান ছিল অনুপুঙ্খ। তার মহাগ্রন্থ পঞ্চসিদ্ধান্তিকায় তিনি প্রথমে ভারতীয় স্থানীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারাগুলির বর্ণনা দেন এবং শেষের দুইটি খণ্ডে পশ্চিমা জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন। এগুলিতে গ্রিক ও আলেকজান্দ্রীয় ঘরানার গণনা, এমনকি টলেমীয় গাণিতিক সারণি ও ছকের পূর্ণাঙ্গ রূপ স্থান পেয়েছে।
বরাহমিহিরের রচনাবলিতে খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতকের ভারতবর্ষের একটি বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে তাঁর মূল আকর্ষণ ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষবিদ্যার প্রতি। তিনি বারংবার জ্যোতিষীবিদ্যার গুরুত্বের উপর লেখেন এবং এই বিষয়ে বহু নিবন্ধ রচনা করেন, যেমন শকুন-বিষয়ক রচনাবলি এবং রাশিগণনার উপর দুইটি বিখ্যাত গ্রন্থ বৃহজ্জাতক ও লঘুজাতক।
বরাহমিহির গণিতের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র আবিষ্কার করেন।
এদের মধ্যে রয়েছে নিচের ত্রিকোণমিতিক সূত্রগুলি:

Sin2x+cos2 x=1
Sinx=cos(π /2-1)
(1-cos2x)/2=sin2x

তিনি ১ম আর্যভট্টের প্রদত্ত সাইন সারণীগুলির উন্নতি সাধন করেন; তার দেয়া মানগুলি ছিল অধিকতর নিখুঁত। এর ফলে ভারতীয় জ্যোতির্বিদেরা আরও নিখুঁতভাবে গণনা করার সুযোগ পান। বৃহৎসংহিতায় পদার্থবিদ্যা নিয়ে আলোচনা কালে বরাহমিহির পরমাণুর আকারের পরিমাপ ধরেছেন π.3.5-1.2-62 ঘন ইঞ্চির চেয়ে কিছু কম। এই পরিমাপের সঙ্গে হাইড্রোজেন পরমাণুর পরিমাপের আশ্চর্য মিল রয়েছে।
বরাহমিহির n সংখ্যক বস্তু থেকে r সংখ্যক বস্তু পছন্দ করার সমস্যা তথা "সমাবেশ"-এর (Combination) সমস্যাটিকে ভিন্নভাবে সমাধান করার প্রয়াস নেন। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি এক ধরনের সারণী নির্মাণ করেন। এই সারণীটিই বহু শতাব্দী পরে ইউরোপে "'পাস্কালের ত্রিভুজ" (Pascal's triangle) নাম নিয়ে পুনরাবিষ্কৃত হয়।
তিনি মূলত তাঁর পূর্বগামী পন্ডিতদের গবেষণামূলক কার্যকলাপের আলোচনা ও নিজের মতামত পোষণের প্রতি বেশি আগ্রহী ছিলেন। এতে অবশ্য হিন্দু জ্ঞান বিজ্ঞানে প্রভূত উপকার হয়েছে। তিনি যদি পূর্ববর্তী বিজ্ঞানীদের কথা লিখে না রেখে যেতেন তাহলে আমরা অনেকের কথাই জানতে পারতাম না। তাই বরাহমিহিরকে ভারতীয় প্লিনি (Pliny) বলা হয়ে থাকে। প্লিনির সময় কাল ২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৭৯ খ্রিষ্টাব্দ। তাঁর রচিত ‘ন্যাচারাল হিস্ট্রি’ বইটি একটি বিশ্বকোষ। ৩৭ খন্ডের এই বৃহৎ গ্রন্থ থেকে সে সময়কার সমাজ ব্যবস্থা, ঐতিহাসিক ঘটনা, গণিতচর্চা রোমান সংখ্যামালা ইত্যাদির নানা খবর পাওয়া যায়।

Thursday, 3 September 2015

New Governors Appointed in India 2015



‪#‎Jharkhand‬: Former Odisha Minister Droupadi Murmu was appointed as Governor of Jharkhand. She will replace Dr Syed Ahmed.
‪#‎Manipur‬: Dr Syed Ahmed has been transfered to Manipur for remaining period of his term.
‪#‎Arunachal_Pradesh‬: J P Rajkhowa was appointed as Governor of Arunachal Pradesh. He will replace Lt. General (Retd.) Nirbhay Sharma.
‪#‎Mizoram‬: Lt. General (Retd.) Nirbhay Sharma has been transferred and appointed as Governor of Mizoram for the remainder of his term.
‪#‎Tripura‬: Tathagata Roy will be the Governor of Tripura.
‪#‎Meghalaya‬: V. Shanmuganthan has been appointed as Meghalaya Governor
‪#‎Himanchal_Pradesh‬: Acharya Dev Vrat
‪#‎Bihar‬: Ram Nath Kovind




Content By:
Manas Chatterjee,
Admin, Education & Career (Facebook)
Raniganj, West Bengal

‎Various Sports Stadiums in India‬


1. Wankhede Stadium Mumbai, Maharashtra Cricket
2. HPCA Stadium Dharamshala, Himachal predesh Cricket
3. Feroz Shah Kotla Ground Delhi Cricket
4. M.A. Chidambaram Stadium Chennai , Tamil Nadu Cricket
5. Eden Gardens Kolkata , West Bengal Cricket
6. Gymkhana Ground Mumbai , Maharashtra Cricket
7. Jsca Stadium Ranchi, Jharkhand Cricket
8. Khanderi Cricket Stadium Rajkot , Gujarat Cricket
9. Subrata Roy Sahara Stadium Pune , Maharashtra Cricket
10. Dr. D.Y. Patil Stadium Navi Mumbai , Maharashtra Football And Cricket
11. New Vca Stadium Nagpur, Maharashtra Cricket
12. Maharani Usharaje Trust Cricket Ground Indore, Madhya Pradesh Cricket
13. Rajiv Gandhi International Stadium Hyderabad , Andhra Pradesh Cricket
14. Apca-Vdca Stadium Visakhapatnam , Andhra Pradesh Cricket
15. Indira Gandhi Stadium Vijayawada, Andhra Pradesh Cricket
16. Barkatullah Khan Stadium Jodhpur, Rajasthan Mostly Used For Cricket
17. Jawahar Lal Nehru Stadium Kochi, Kerala Multipurpose
18. IPCL Sport Complex Vadodara, Gujarat Cricket
19. K.D. Singh Babu Stadium Lucknow , Uttar Pradesh Multipurpose
20. Fatorda Stadium Margao, Goa Football & Cricket
21. Maulana Azad Stadium Jammu , Jammu & Kashmir Cricket
22. Indira Priyadarshini Stadium Visakhapatnam , Andhra Pradesh Cricket
23. Roop Singh Stadium Gwalior , Madhya Pradesh Cricket
24. Nahar Singh Stadium Faridabad, Haryana Cricket
25. Madhav Rao SC India Ground Rajkot, Gujarat Cricket
26. Sector 16 Stadium Chandigarh Cricket
27. Nehru Stadium Pune, Maharashtra Cricket (Multipurpose)
28. University Stadium Thiruvananthapuram, Kerala Football (Multipurpose)
29. Jawahar Lal Nehru Stadium Delhi Multipurpose
30. Keenan Stadium Jamshedpur , Jharkhand Cricket And Football
31. Sardar Patel Stadium Ahmedabad , Gujarat Cricket
32. Moti Bagh Stadium Vadodara , Gujarat Cricket
33. Sher-I-Kashmir Stadium Srinagar, Jammu & Kashmir Cricket
34. Sawai Mani Singh Stadium Jaipur , Rajasthan Cricket
35. Gandhi Sports Complex Ground Amritsar , Punjab Currently Used For Cricket
36. Barabati Stadium Cuttack, Orissa Cricket
37. M. Chinnasawami Stadium Bangalore , Karnataka Cricket
38. Vca Ground Nagpur , Maharashtra Cricket
39. Lal Bahadur Shastri Stadium Hyderabad , Andhra Pradesh Cricket
40. Green Park Stadium Kanpur , Uttar Pradesh Cricket
41. Brabourne Stadium Mumbai , Maharashtra Cricket
42. Guru Gobind Singh Stadium Nanded, Maharashtra Cricket
43. Fort Maidan Palakkad, Kerala Football
44. Dilip Tirkey Stadium Ranchi, Jharkhand Hockey
45. Birsa Munda Stadium Ranchi, Jharkhand Hockey
46. Kalinga Stadium Bhuvaneshwar, Odisha Hockey
47. Mahindra Stadium Mumbai, Maharashtra Hockey
48. Dhyan Chand Astroturf Lucknow, Uttar Pradesh Hockey
49. Dadaji Kondadev Stadium Thane, Maharashtra Football
50. Guru Nanak Stadium Ludhiana, Punjab Football



Content By:
Manas Chatterjee
Ranigan, West Bengak

Wednesday, 2 September 2015

Some inventors and proponents name


১.শিখনের প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ব/সংযোজন বাদ→থর্নডাইক।
২.শিখনের প্রাচীন অনুবর্তনতত্ব (Classical Conditioning)→প্যাভলভ।
৩.শিখনের সক্রিয় অনুবর্তনতত্ব(Operant Conditioning)→স্কিনার।
৪. শিখনের সমগ্রতাবাদী তত্ত্ব(Gestalt Theory)→কোহলার,কফকা,ওয়ার্দিমার।
৫. শিখনের সাযুজ্য তত্ত্ব(Theory of Contiguity)→ গাথারি।
৬. শিখনের সামাজিক নির্মিতিবাদ(Social Constructivism)→বাইগটস্কি।
৭. শিখনের সামাজিক জ্ঞানমূলক তত্ত্ব(Social Congative Theory)→বান্দুরা।
৮.পান্ডিত্য শিখন(Mastery Learning)মডেল→ ব্লুম।
৯)অগ্রণী সংগঠনক মডেল(Advance Organiser)→ডেভিড আসুবেল।
১০.পোগ্রাম শিখন মডেল→বি,এফ,স্কিনার।
১১.ধারনা গঠন মডেল(Concept Attainment)→জেরোমি ব্রুনার।
১৩.মৌলিক শিক্ষণ মডেল→গ্লেসার।
১৪.শিখনের চিহ্নিতকরন(Sign) তত্ত্ব→টলম্যান।
১৫. শিখনের সামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ তত্ত্ব→হাল।
১৬. শিখনের ফিল্ড তত্ত্ব→লিউইন।
১৭.বুদ্ধির দ্বি-উপাদান তত্ত্ব→স্পিয়ারম্যান।
১৮. বুদ্ধির বহু উপাদান তত্ত্ব→থর্ণডাইক।
১৯.বুদ্ধির সংগঠন সংক্রান্ত তত্ত্ব→গিলফোর্ড।
২০. বুদ্ধির বাছাই তত্ত্ব→থমসন।

Inventors & Proponents - Child Psychology



১.শিশু কেন্দ্রিক শিক্ষার জনক- রুশো
২. সমস্যা সমাধান পদ্ধতি - জন ডিউই।
৩.বুদ্ধির দলগত উপাদান তত্ব- থার্স্টোন ডাইক।
৪. বুদ্ধির একক উপাদান তত্ব- স্টার্ন।
৫.বুদ্ধির বহু উপাদান তত্ব-থর্ণ ডাইক।
৬. বুদ্ধির বাছাই তত্ব- থমসন।
৭.বুদ্ধির দ্বি- উপাদান তত্ব- স্পিয়ারম্যান।
৮.সামাজিক চুক্তি নীতির প্রবক্তা- হেগেল।
৯.কাসা দাই বাম বিনি প্রতিস্টা করেন- মাদাম মন্তেসরি।
১০.শিক্ষক কে বাগানের মালির সংগে তুলনা করেন- ফ্রয়বেল।
১১.শিখনের সক্রিয়া অনুবর্তন তত্ব- স্কিনার।
১২.শিখনের প্রাচীন অনুবর্তন তত্ব- প্যাভলভ।
১৩.শিখনের সমগ্রতা বাদী তত্ব-  কোহলার; কফকা; ওয়ার্দিমার।
১৪.শিশু নিকেতন স্থাপন- মন্তেসরি।
১৫.শিশুর নৈতিক বিকাশ তত্ব- কোহলবার্গ।
১৬.শিশুর জ্ঞানমূলক বিকাশ তত্ব- পিয়াঁজে।
১৭.প্রকল্প পদ্বতি- কিল প্যাট্রিক।
১৮.কিন্ডার গার্ডেন পদ্ধতি- ফ্রয়বেল।
১৯.বুদ্ধির প্রাথমিক মানসিক ক্ষমতা তত্ব- থার্স্টোন।
২০.বুদ্ধির 3Dতত্ব-জে.পি.গিলফোর্ড।
২১.মানসিক বয়স ধারণাটি উদ্ভাবন করেন- বিঁনে- সাইমন।
২২.আচরণ বাদের প্রতিষ্ঠাতা- ওয়াটসন।
২৩.শিখনের চিহ্নিতকরণ তত্ব- টলম্যান।
২৪.প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষার কথা প্রথম বলেন- প্লেটো।
২৫.শিখনের প্রচেষ্টা অ ভুল তত্ব- থর্নডাইক।
২৬.প্রথম বুদ্ধির অভীক্ষা তৈরি করেছিলেন- আলফ্রেড বিঁনে সাইমন।
২৭.শিখনের সামাজিক নির্মিতিবাদ - ভাইগটস্কি।
২৮.বুদ্ধির সংগঠন সংক্রন্ত তত্ব- গিল ফোর্ড।
২৯.মন: সামাজিক বিকাশ তত্ব: এরিকসন।
৩০.সমস্যা সমাধান মুলক গবেষনা - থর্ন ডাইক।



Content Writer -
Niranjan Sarkar
Assistant Teacher (English)
Vivekanada Vidyabhaban High School
Madhya Madarihat, Jalpaiguri

Saturday, 29 August 2015

‪‎রাখী‬ বন্ধন BY Niranjan Sarkar


ভবিষ্যপুরাণে এটাকে রাজাদের উৎসব বলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সমাজের সব স্তরের মানুষ রাখী বন্ধন পালন করে।এই দিনে বোনেরা তার ভাই এর হাতে রাখী বেঁধে দেয়।এই বন্ধনের মধ্যে থাকে ভাই এর প্রতি বোনের আন্তরিক শুভকামনা এবং ভাই এর মনে থাকে বোন কে রক্ষা করার দায়ীত্ববোধ। ভাই বোনের এই বন্ধন সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করবে এটাই এই দিনের প্রার্থনা । রাখী বন্ধনের উৎপত্তি নিয়ে অনেক কাহিনী বর্ণিত আছেঃ-

ইন্দ্রঃ 
দেবতা ও অসুরদের যুদ্ধে দেবতারা পরাজিত হলে, দেবরাজ ইন্দ্র জয়লাভের পথ খুঁজতে দেবগুরু বৃহস্পতির কাছে যখন যাচ্ছিলেন, সেইসময় ইন্দ্রের পত্নী ইন্দ্রানী দেবরাজকে বললেন, তিনি জানেন কি উপায়ে অসুরদের পরাজিত করা য়ায় । আর সেই উপায় হিসাবে পরদিন শ্রাবণ মাসের
পূর্ণিমাতে ইন্দ্রানী স্বামীর হাতে বেঁধে দিয়েছিলেন 'রক্ষাকবচ '। এবার ইন্দ্র অসুরদের পরাজিত করতে সমর্থ হলেন । এই রক্ষাকবচটি ছিল একটি 'রাখী '। পৌরানিক  কাহিনীতে স্ত্রী স্বামীর হাতে রাখী বেঁধে দিয়েছিলেন । পরবর্তীকালে রীতির পরিবর্তন হয় এবং সাধারণত বোনেরা ভাইদের হাতে রাখী বেঁধে দেয়।

মহাভারতঃ 
শ্রীকৃষ্ণ একবার রথের চাকার আঘাতে আহত হয়েছিলেন,তখন দ্রৌপদী তাঁর নিজের
শাড়ী ছিঁড়ে কৃষ্ণের রক্তাক্ত হাতে বেঁধে দেন। দৌপদীর এই সেবা শ্রীকৃষ্ণ কে মোহিত করে এবং তিনি দ্রৌপদীর প্রতি এক নিবিড় স্নেহের বন্ধন অনুভব করেন।এই ঘটনার পর থেকে শ্রীকৃষ্ণ ও দ্রৌপদীর মধ্যে এক পরম শ্রদ্ধা ও স্নেহ এর বন্ধন  সৃষ্টি হয়।এর পর বহু বছর কেটে যায়। রাজা ধৃতরাষ্ট্র এর সভায় দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণের গল্প আমাদের সবার  জানা। সেখানে অসম্মানিত, অপমানিত দ্রৌপদী কে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন কৃষ্ণ,তিনি তাঁর বসন কে বর্ধিত করে দ্রৌপদী কে অপমানের হাত থেকে রক্ষা করেন। অনেকের বিশ্বাস যে মহাভারতের দ্রৌপদী আর কৃষ্ণের এই স্নেহের বন্ধনই হিন্দু সমাজে রাখী বন্ধন এর মূল সূত্র।

বালি এবং লক্ষী দেবিঃ
বালি বিষ্ণু ভক্ত ছিলেন।  বিষ্ণু বালির সাম্রাজ্য রক্ষা করার জন্য বৈকুণ্ঠ ত্যাগ করেন। মা লক্ষী তখন এক মহিলার বেশে বালির কাছে আসেন এবং বালি কে রাখী পরান। রাখী বাঁধার  পর লক্ষী দেবি তাঁর নিজের পরিচয় দেন। তখন বালি বিষ্ণু কে অনুরোধ করেন মা লক্ষী কে সঙ্গ  দেয়ার জন্য। বিষ্ণু পুনরায় বৈকুণ্ঠে ফিরে আসেন। 

যম এবং যমুনাঃ
 যমুনা তার ভাই যম কে রাখী বাঁধেন  এবং অমরত্ত প্রদান করেন। তখন যম  ঘোষনা করেন ,যে ভাই বোনের দ্বারা রাখী বাঁধবে এবং বোনকে রক্ষা করার  দায়িত্ত্ব নেবে সে অমরত্ব লাভ করবে।

রাখী বন্ধনের ঐতিহাসিক গুরুত্ত্ব:
১) মুসলমানী সাম্রাজ্য গ্রাসীত ভারতবর্ষে রাজপুত আর সুলতান দের যুদ্ধ চলাকালীন চিতরের
বিধবা রাণী কর্ণবতী বুঝেছিলেন যে গুজরাতের সুলতান বাহাদুর শাহকে শক্তি বলে পরাজীত করা সহজ নয়।তখন রানী কর্ণবতী দিল্লীর মুঘল সম্রাট  হুমায়ূনের কাছে সাহায্য প্রার্থনার্থে সম্রাট
কে রাখী উপহার পাঠান।এই উপহার সম্রাট কে মোহিত  করে ও তিনি রানী কর্ণবতীর সঙ্গে স্নেহের
সম্পর্কে আবদ্ধ হন এবং রাজপুত দের  সঙ্গে মিত্রতা করেন। সে দিনের ছোট্টো উপহারটি যুদ্ধের হিংস্রতা কে শিথিল করতে সক্ষম হয়েছিল।

২) বাংলায় রাখী বন্ধন প্রবর্তণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।আমাদের দেশ তখন বৃটিশ দের অধীনে শাসিত।১৯০৫ সালে ২০ জুলাই ভাইসরয় লর্ড কার্জন এর সিদ্ধান্তে ঘোষিত হয় যে বাংলা কে দুই
ভাগে ভাগ করা হবে।এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলার শক্তিকে খর্ব করা।ঠিক করা হয়েছিল যে হিন্দু ও
মুসলিমের প্রাধান্য অনুসারে সমগ্র বাংলাকে পূর্ব আরপশ্চিম বাংলায় বিভক্ত করা হবে।১৯০৫ সালে ১৬ অক্টোবরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হয়।সমগ্র বাংলা এই বিভাগের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে।
শুরু হয় বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন।এই বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন এর অন্যতম ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।তিনি বাংলার সব মানুষ কে আহবান জানান এর প্রতিবাদে সামিল হবার জন্য।এই দিনটিতে তিনি রাখী বন্ধন উৎসব পালন করেন বাঙ্গালীদের নিয়ে।রবীন্দ্রনা থ প্রবর্তিত রাখী হিন্দু সমাজে প্রচলিত অনুষ্ঠানের থেকে তাই কিছুটা ভিন্ন। 

রাখীপুর্ণিমাবিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে পালিত হয়ঃ উড়িষ্যা তে গামহা পুর্ণিমা। মহারাষ্ট্র, গোয়া,
গুজ্ররাতে নারালি পুর্ণিমা। উত্তারাখান্দে জান্ধ্যাম পুর্ণিমা। মধ্যপ্রদেশ, ঝারখন্ড, ছত্রিশগড়ে কাজারি পুর্ণিমা। পশ্চিমবঙ্গে ঝুলন পুর্ণিমা।

রাখী বন্ধনের পদ্ধতিঃ
কাঠের পিঁড়ি তে ভাই কে বসতে দেয়া হয়। পিঁড়ির চারপাশে আলপনা আঁকা হয়। এবার ভাই বোন দুইজনেই  একে অপরের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করে। বোন ভাইএর  কপালে তিলক দিয়ে দেয়। এবার ডান হাতের কব্জিতে রাখী বাঁধে। এরপর ঘি এর প্রদীপ  দিয়ে ভাইয়ের সামনে আরতি করা হয়। ভাই, বোন  কে উপহার দেয় এবং বোন তা শ্রদ্ধার সাথে গ্রহন  করে। পরিশেষে বলা যা্য় রাখী বন্ধন উৎসব
একটি পারিবারিক মিলন বন্ধনের উপযুক্ত উদাহরণ । বর্তমানে আমাদের জীবনে রাখী বন্ধন উৎসব শুধুমাত্র বোন-ভাই এর মধ্যেই সীমিত নেই বন্ধু-বান্ধব এবং রাজনৈতিক জগতেও নিজেদের মধ্যে ভালোবাসার এবং মিলনের ঐক্য গড়ে তুলছে।

Sunday, 23 August 2015

কয়েকটি পরিবেশ আন্দোলন


১. বিসনি আন্দোলন : প্রায় ৪০০ বছর আগে এইরকম এক আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন সাজে বা সগে নামক একজন ঋষি। এই দিনটির স্মরণে আজও রাজস্থানে বৃক্ষকে দেবতা জ্ঞানে পূজা করা হয়। এই আন্দোলনের ধারা বজায় রেখে অরণ্যবিনাশ, গাছকাটা প্রভৃতি পরিবেশ প্রতিকুল কার্য্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

২. চিপকো আন্দোলন : অরণ্যবিনাশ, গাছকাটা প্রভৃতি পরিবেশ প্রতিকুল কার্য্যকলাপের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় ১৯৭৩ সালে উত্তারাখন্ডে। নেতৃত্বে ছিলেন - সুন্দরলাল বাহুগুনা, গৌরী দেবী এবং চন্ডি প্রসাদ।

৩. নর্মদা বাচাও আন্দোলন : মেধা পাটেকার, বাবা অমতে এবং অরুন্ধতি রায় এদের নেতৃত্বে এই আন্দোলন সূচিত হয়। নর্মদা নদীর ওপর সর্বার্থসাধক জলাধার তৈরির বিরুদ্ধে এই আন্দোলন করা হয়। আন্দোলনকারী দের মতে এই জলাধার নির্মানের ফলে দেখা দিতে পারে বন্যা এবং জল জমা যা হয়েত ১ লক্ষ পরিবারের ক্ষতি করতে পারে। যদিও জলাধারের সপক্ষে যারা ছিলেন তাদের মতে এই জলাধারের মূল উদ্দেশ্য হল চাষের এবং পানীয় জল সরবারহ , বন্যা প্রতিহত করা এবং পশু পাখি সংরক্ষণ।


৪. সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন : কুথিপুজ্হা নামক স্থানে এই আন্দোলন সংগঠিত হয় পেরিয়ার নদীর ওপর বাঁধ নির্মানের বিরুদ্ধে। এই কাজে প্রচুর বন জঙ্গল কেটে নষ্ট করা হয় যা ছিল বিভিন্ন পরজাতির উদ্ভিত এবং প্রাণীর আশ্রয়। তবে বাঁধ বানানোর উদ্দ্যেশ্য হলো হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট।


৫. বালিয়াপাল আন্দোলন : অস্ত্র মূলতঃ মিসাইল পরীক্ষণের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন হয়। গ্রামবাসীদের মতে এই রকম পরীক্ষার ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়

Environmental Studies by Ramtanu Saha



  • ☆ এই মুহূর্তে পৃথিবীর শক্তির বড়ো উৎস হল - তেল ।
  • ☆ ভারতে সর্বাধিক কয়লা ব্যবহৃত হয় - তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রে ।
  • ☆ শব্দ দূষণ পরিমাপক একক হল - ডেসিবেল ।
  • ☆ যানবাহনের ধোঁয়া সৃষ্ট ক্ষতিকারক ধাতুজাতীয় দূষক পদার্থ হল - সিসা ।
  • ☆ CFCএর পুরো নাম -ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন 
  • ☆ মিনেমাটা রোগ সৃষ্টিকারী ধাতুটি হল - পারদ ।
  • ☆ UV বিকিরণের দ্বারা ত্বকের ক্যান্সার হয় ।
  • ☆ বিশ্ব পরিবেশ দিবস হল - 5ই জুন ।
  • ☆ জৈব বিয়োজনক্ষম দূষণ সৃষ্টিকারী পদার্থটি হল - প্লাস্টিক ।
  • ☆ তাজমহলের ক্ষতিকারক দূষণ পদার্থটি হল - সালফার ডাই অক্সাইড ।
  • ☆ ভারতে সৃষ্ট মিথেনের মূল উৎস হল - ধান খেত ।
  • ☆SO2 দূষন দ্বারা গাছের - ক্লোরোফিল বিনষ্ট হয় ।
  • ☆ওজোনস্তর দেখা যায় - স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ।
  • ☆ওজোনস্তরের ক্ষয়ের জন্য দোষী প্রধান গ্যাসের নাম - CFC ।
  • ☆ প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসের নাম - CO2 ।
  • ☆ ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক প্রেসিপিটর যন্ত্র ব্যবহার হয় - বায়ুদূষণ রোধে ।
  • ☆ইউট্রোফিকেশন বলে - জলে শৈবালের বৃদ্ধিকে ।
  • ☆ বিশুদ্ধ জলে pH এর মান - 7 ।
  • ☆জলাভূমিতে শৈবাল পচে যে বিষ নির্গত হয় তার নাম - স্ট্রিকনিন ।
  • ☆মিনেমাটা বিপর্যয় ঘটে - জাপানে ।
  • ☆শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলে রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়ার বসবাসরীতিকে বলা হয়- সিমবায়োসিস ।
  • ☆ বাস্তুতন্ত্রের কোনো স্থানের সমগ্র উদ্ভিদের একসঙ্গে বলা হয়- ফ্লোরা।
  • ☆প্রাণীগোষ্ঠীকে বলা হয়- ফনা।
  • ☆ পশ্চিমবঙ্গে বাঘ্র প্রকল্প আছে- সুন্দরবনে।
  • ☆ ইকোলজি কথার অর্থ- বাস্তুবিদ্যা।
  • ☆বাস্তুতন্ত্রে শক্তির প্রবাহ সর্বদা- একমুখী ।
  • ☆ "ইকোসিস্টেম"- শব্দটির প্রবর্তক- ট্যান্সলি।
  • ☆ কোনো নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত জীবের পরিমান বা সর্বমোট সংখ্যাকে বলা হয়- বায়োমাস।
  • ☆দশ শতাংশ সুত্রের প্রবক্তা- লিন্ডেম্যান।
  • ☆জলে ভাসমান আণুবিক্ষনিক জীবদের বলা হয়- প্ল্যাংটন।
  • ☆ উদ্ভিদের বলা হয়- ফাইটোপ্ল্যাংটন।
  • ☆প্রানিদের বলা হয় - জু-প্ল্যাংটন ।
  • ☆ফাইটোপ্ল্যাংটন হলো জলজ বাস্তুতন্ত্রের- উত্পাদক উপাদান ।
  • ☆ যেসব প্রাণী জলে স্বাধীনভাবে সাতার কেটে বেড়ায় তাদের বলে- নেকটন।
  • ☆নেকটনের উদাহরণ- মাছ ও তিমি।
  • ☆ যেসব প্রাণী জলের নীচে বসবাস করেন তাদের বলা হয়- বেনথস।
  • ☆ বেনথসের উদাহরণ- শামুক ও প্রবাল।
  • ☆ পশ্চিমবঙ্গের একটি অভয়ারণ্যের নাম- জলদাপাড়া।
  • ☆ভারতের দুটো লুপ্তপ্রায় প্রাণীর নাম- একশৃঙ্গ গন্ডার ও সিংহ ।
  • ☆ভারতের দুটো বিলুপ্ত প্রাণীর নাম- গোলাপী মাথা হাস ও পাহাড়ি বটের।
  • ☆ ফাইটোপ্ল্যাংটনের উদাহরণ- ক্ল্যামাইডোমেনাস ও ভলবক্স।
  • ☆ জু-প্ল্যাংটনের উদাহরণ- মশার লার্ভা ও ডাফনিয়া।
  • ☆ নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া- রাইজোবিয়াম ও ক্লসট্রিডিয়াম।
  • ☆ ডি- নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া- সিউডোমেনাস ও থিওব্যাসিলাস।
  • ☆ বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত কোনো প্রজাতির জীবের অবস্থান ও তার ভুমিকাকে বলা হয়- ইকোলজিক্যাল নিচ্।
  • ☆ খাদ্য পিরামিড- তিনপ্রকার।
  • ☆"ইতাই-ইতাই" - রোগ কোন ধাতুর কারনে হয়- ক্যাডমিয়াম।
  • ☆ মিনামাটা রোগ কোন ধাতুর কারনে হয় ? : পারদ
  • ☆ ব্ল্যাক ফুট ডিজিজ কোন ধাতুর কারনে হয় ? : অার্সেনিক
  • ☆ ফ্লুরোসিস রোগ কেন হয় ? : ফ্লোরাইড দুষন
  • ☆ কালো ফুসফুস রোগ কাদের হয় ?: কয়লা কারখানার শ্রমিকদের ।
  • ☆প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাস কোনটি ? : কার্বন ডাইঅক্সাইড
  • ☆ জৈব গ্রীন হাউস গ্যাস কোনটি ?: মিথেন
  • ☆ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী আর্সেনিকের নিরাপদ মাত্রা কতো ?? : প্রতি লিটার জলে ০.০১ মিলিগ্রা
  • ☆ মানবদেহে আর্সেনিকের সর্বাধিক সহনসীমা কতো ? : প্রতি লিটার জলে ০.০৫ মিলিগ্রাম ।
  • ☆ওজোনস্তরের ক্ষতির জন্য প্রধান দায়ী কোন গ্যাস ? : ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ।
  • ☆ইকোসিস্টেম নামকরন কে করেন ? : ট্যানসলে ।
  • ☆ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস কবে পালিত হয় ? : ২৩ শে মার্চ ।
  • ☆ ফ্লাই অ্যাশ এর উতস কি ? : তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র ।
  • ☆ ভূ- তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারন কি ?: গ্রীন হাউস গ্যাস ।
  • ☆ GIS- এর পুরো নাম কি ?: Geographical Information System .
  • ☆ তৈগা কি ? : পাইন গাছের বনভূমি ।
  • ☆ ভারতে বনভূমির পরিমান কতো ? : ১৯.৩৯%
  • ☆পৃথিবীর প্রথম পরিবেশ বৈঠক কোথায় হয়? : স্টকহোমে।
  • ☆আর্সেনিকোসিস হলো-: জলদুষনের ফল/ আর্সেনিক দুষনের ফল ।
  • ☆ চিপকো শব্দের অর্থ কি ? : জড়িয়ে ধরা।
  • ☆ শব্দের তীব্রতা মাপার একক কি ? : ডেসিবল ।
  • ☆ চিপকো আন্দোলনের মুল দাবী কি ছিল ? : অরণ্য সংরক্ষণের দাবী।
  • ☆টর্নেডো কথাটি কোন দেশের সঙ্গে যুক্ত ?: আমেরিকা ।
  • ☆হ্যারিকেন কোন দেশের ঝড় ? : ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।
  • ☆ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রের নাম কি ?: সিসমোগ্রাফ।
  • ☆ টাইফুন কি ?: জাপানের ঘূর্ণবাত ।
  • ☆UNESCO পুরো নাম কি ? : United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization .
  • ☆IUCN এর পুরো নাম কি ?: International Union for Conservation of Nature.
  • ☆শিশু দিবস :14 NOVEMBER ।
  • ☆হিরোসিমা দিবস :6 AUGUST ।
  • ☆বিশ্ব রেডক্রশ দিবস :8 MAY ।
  • ☆তামাক বিরোধী দিবস :31 MAY ।
  • ☆EPA এর সম্পূর্ন নাম :Environmental protection agency ।
  • ☆পরিবেশ সচেতনতা শিক্ষার কোন স্তরের সঙ্গে যুক্ত ?: প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ।
  • ☆পরিবেশ ও বাস্তবজীবন শিক্ষার কোন স্তরের সঙ্গে যুক্ত ? : মাধ্যমিক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ।
  • ☆বর্ষাকালে কোন মেঘ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় -কিউমুলোনিম্বাস ।
  • ☆বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের পরিমাণ কত -0.00006%।
  • ☆উর্বর মাটির রং- কালো বাদামি।
  • ☆তৈগা অঞ্চলে দেখা যায় — পডসল মৃত্তিকা।
  • ☆জীবের শ্বসনের ফলে কোন গ্যাস উৎপাদন হয় - কার্বন ডাই অক্সাইড ।
  • ☆পদার্থের মধ্যে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তিকে কি বলে -স্থিতি শক্তি ।
  • ☆জীবভরে র একক -ক্যালোরি ।
  • ☆রামসার ক্ষেত্র বলতে বোঝায় - জলাভূমি ।
  • ☆ভারত কবে 100 কোটি তে পৌঁছায় জনসংখ্যার দিক দিয়ে - 11/05/2001।
  • ☆গ্রিক শব্দ সিসমোস কথাটির অর্থ -ভূকম্পন ।
  • ☆ভূ গর্ভস্থ জলের দূষন র জন্য দায়ী -আর্সেনিক ।
  • ☆শব্দের নিরাপদ মাত্রা -65DB।
  • ☆ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনার জন্য দায়ী -MIC।

Friday, 14 August 2015

ভারতের সংবিধান


প্রশ্ন:- গণপরিষদের প্রথম স্থায়ী সভাপতি কে ?
উত্তর:- গণপরিষদের প্রথম স্থায়ী সভাপতি ছিলেন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ।
প্রশ্ন:- ভারতের প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন ?
উত্তর:- ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন লর্ড ক্যানিং ।
প্রশ্ন:- ভারতের শেষ ভাইসরয় কে ছিলেন ?
উত্তর:- ভারতের শেষ ভাইসরয় ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটন ।
প্রশ্ন:- ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল কে ছিলেন ?
উত্তর:- ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল ছিলেন লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ।
প্রশ্ন:- ভারতের শেষ গভর্নর-জেনারেল কে ছিলেন ?
উত্তর:- ভারতের শেষ গভর্নর-জেনারেল ছিলেন চক্রবর্তী রাজাগোপাল আচারী ।
প্রশ্ন:- কোন আইন বলে স্বাধীন ভারতের সংবিধান রচিত হয়েছে ?
উত্তর:- ভারতীয় স্বাধীনতা আইন (১৯৪৭) -এর বলে স্বাধীন ভারতের সংবিধান রচিত হয়েছে ।
প্রশ্ন:- ভারতের সংবিধান রচনার মুসাবিদা কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিলেন ?
উত্তর:- ভারতের সংবিধান রচনার মুসাবিদা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন
ডঃ বি.আর.আম্বেদকর ।
প্রশ্ন:- ভারতের সংবিধান রচনায় মূখ্য ভুমিকা কার ছিল ?
উত্তর:- ভারতের সংবিধান রচনায় মূখ্য ভুমিকা ছিল ডঃ বি.আর.আম্বেদকর -এর ।
প্রশ্ন:- ভারতের জাতীয় সঙ্গীত কে রচন করেন ?
উত্তর:- ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচন করেন বঙ্কিম চন্দ্র।
প্রশ্ন:- স্বাধীন ভারতের সংবিধান কবে থেকে কার্যকর হয় ?
উত্তর:- ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারী থেকে স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় । ভারত এইদিন একটি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র রূপে ঘোষিত হয় ।
প্রশ্ন:- স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ?
উত্তর:- স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন ।
প্রশ্ন:- স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ?
উত্তর:- স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ ।
প্রশ্ন:- স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে হন ?
উত্তর:- স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন পন্ডিত জওহরলাল নেহরু ।
প্রশ্ন:- কত বছর বয়সে ভারতীয় নাগরিক ভোটদানের অধিকারী হন ?
উত্তর:- ১৮ বছর বয়সে ভারতীয় নাগরিক ভোটদানের অধিকারী হন ।
প্রশ্ন:- রাজ্যসভায় কে সভাপতিত্ব করেন ?
উত্তর:- ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকারবলে রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করেন ।
প্রশ্ন:- লর্ড মাউন্টব্যাটেনের পর কে ভারতের গভর্নর জেনারেল হয়েছিলেন ?
উত্তর:- লর্ড মাউন্টব্যাটেনের পর চক্রবর্তী রাজাগোপাল আচারী ভারতের গভর্নর জেনারেল হয়েছিলেন ।
প্রশ্ন:- ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে কয়টি অঙ্গরাজ্য আছে ?
উত্তর:- ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ২৯টি অঙ্গরাজ্য আছে ।
প্রশ্ন:- ভারতের প্রদেশগুলির রাজ্যপাল কে নিযুক্ত করেন ?
উত্তর:- ভারতের প্রদেশগুলির রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি ।
প্রশ্ন:- ভারতের প্রধানমন্ত্রী কার দ্বারা নিযুক্ত হন ?
উত্তর:- ভারতের রাষ্ট্রপতি লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন ।
প্রশ্ন:- ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের নাম কী ?
উত্তর:- ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের নাম সুপ্রিমকোর্ট ।
প্রশ্ন:- সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচাপতি কার দ্বারা নির্বাচিত হন ?
উত্তর:- সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচাপতি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্বারা নির্বাচিত হন ।
প্রশ্ন:- ভারতীয় সামরিক বাহিনীত্রয়ের সর্বাধিনায়ক কে ?
উত্তর:- ভারতীয় সামরিক বাহিনীত্রয়ের সর্বাধিনায়ক হলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ।
প্রশ্ন:- কোন বিশেষ ধরণের বিলকে রাষ্ট্রপতি পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠাতে পারেন না ?
উত্তর:- অর্থ বিলকে রাষ্ট্রপতি পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠাতে পারেন না ।
প্রশ্ন:- ভারতের উপরাষ্ট্রপতি কীভাবে নির্বাচিত হন ?
উত্তর:- ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষের যুক্ত অধিবেশনে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ।
প্রশ্ন:- স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতির নাম কী ?
উত্তর:- স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতির নাম হল ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ।
প্রশ্ন:- ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে ক’ধরণের মন্ত্রী দেখা যায় ?
উত্তর:- ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে তিন ধরণের মন্ত্রী দেখা যায়—
(১) ক্যাবিনেট মন্ত্রী (২) রাষ্ট্রমন্ত্রী (৩) উপমন্ত্রী ।
প্রশ্ন:- ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের নাম কী ?
উত্তর:- ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের নাম হল রাজ্যসভা ।
প্রশ্ন:- ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের নাম ?
উত্তর:- ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের নাম হল লোকসভা ।
প্রশ্ন:- ভারতীয় সংসদের রাজ্যসভার সদস্য হতে হলে সর্বনিম্ন বয়স কত হওয়া প্রয়োজন ?
উত্তর:- ভারতীয় সংসদের রাজ্যসভার সদস্য হতে হলে সর্বনিম্ন বয়স ৩০ বছর হওয়া প্রয়োজন ।
প্রশ্ন:- রাজ্যসভার চেয়ারম্যান কাকে কারা হয় ?
উত্তর:- ভারতের উপরাষ্ট্রপতিকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান কারা হয় ।
প্রশ্ন:- রাজ্যসভার অধিবেশনে কে সভাপতিত্ব করেন ?
উত্তর:- রাজ্যসভার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ।
প্রশ্ন:- ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে কে সভাপতিত্ব করেন ?
উত্তর:- ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকারবলে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে সভাপতিত্ব করেন ।
প্রশ্ন:- কোন বিল শুধুমাত্র লোকসভায় আনা যায়, রাজ্যসভায় আনা যায় না ?
উত্তর:- অর্থ বিল শুধুমাত্র লোকসভায় আনা যায়, রাজ্যসভায় আনা যায় না ।
প্রশ্ন:- ভারতীয় সংবিধানে লোকসভার মেয়াদ সাধারণত কত বছর ?
উত্তর:- ভারতীয় সংবিধানে লোকসভার মেয়াদ সাধারণত ৫ বছর ।
প্রশ্ন:- রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যদের কে নির্বাচিত করেন ?
উত্তর:- রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যদের নির্বাচিত করেন
রাজ্যপাল ।
প্রশ্ন:- ভারতের সাম্প্রতিক দলীয় ব্যবস্থার যে কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা উল্লেখ করুন ?
উত্তর:- ভারতের সাম্প্রতিক দলীয় ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা হল জোট রাজনীতি ।
প্রশ্ন:- লোকসভার প্রার্থী পদের সর্বনিম্ন বয়স কত ?
উত্তর:- লোকসভার প্রার্থী পদের সর্বনিম্ন বয়স ২৫ বছর ।
প্রশ্ন:- কারা লোকসভার স্পিকার নির্বাচন করেন ?
উত্তর:- লোকসভার নির্বাচিত সদস্যরা লোকসভার স্পিকার নির্বাচন করেন ।
প্রশ্ন:- লোকসভায় সভাপতিত্ব কে করেন ?
উত্তর:- লোকসভার স্পিকার লোকসভায় সভাপতিত্ব করেন ।
প্রশ্ন:- রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী কে ?
উত্তর:- রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হল রাজ্যপাল ।
প্রশ্ন:- কখন রাজ্যপাল স্বাধীনভাবে রাজ্যের শাসনকার্য চালাতে পারে ?
উত্তর:- রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হলে রাজ্যপাল স্বাধীনভাবে রাজ্যের শাসনকার্য চালাতে পারে ।
প্রশ্ন:- রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাবান শাসক কে ?
উত্তর:- রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাবান শাসক হল মুখ্যমন্ত্রী ।
প্রশ্ন:- বিধানসভার স্পিকার কাদের দ্বারা নির্বাচিত হন ?
উত্তর:- রাজ্য বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হন ।
প্রশ্ন:- কোন পরিস্থিতিতে রাজ্য মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হয় ?
উত্তর:- রাজ্য বিধানসভায় সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে পাশ হলে রাজ্য মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হয় ।
প্রশ্ন:- কোনো বিল আইনে পরিণত করতে হলে কার সম্মতির প্রয়োজন ?
উত্তর:- কোনো বিল আইনে পরিণত করতে হলে রাষ্ট্রপতির সম্মতির প্রয়োজন ।
প্রশ্ন:- স্বাধীন ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচন কোন সালে অনুষ্ঠিত হয় ?
উত্তর:- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।
প্রশ্ন:- কবে এবং কোন দল ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে ?
উত্তর:- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ।
প্রশ্ন:- স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম কংগ্রেস সভাপতি কে ছিলেন ?
উত্তর:- স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন
আচার্য জে. বি. কৃপালিনী ।
প্রশ্ন:- কবে এবং কোন রাজ্যে ভারতের প্রথম কমিউনিস্ট সরকার গঠিত হয় ?
উত্তর:- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে কেরালা রাজ্যে ভারতের প্রথম কমিউনিস্ট সরকার গঠিত হয় ।
প্রশ্ন:- কে এবং কবে জনসংঘ দল প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তর:- ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জনসংঘ দলের প্রতিষ্ঠা করেন ।
প্রশ্ন:- ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙ্গে গিয়ে কবে এবং কোন কোন দুটি দলে বিভক্ত হয়ে যায় ?
উত্তর:- ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙ্গে গিয়ে
সি.পি.আই এবং সি.পি.আই.এম এই দুটি দলে বিভক্ত হয়ে যায় ।
প্রশ্ন:- জওহরলাল নেহরুর মৃত্যু কবে হয় ?
উত্তর:- ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে জওহরলাল নেহরুর মৃত্যু হয় ।
প্রশ্ন:- জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন ?
উত্তর:- জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর লালবাহাদুর শাস্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন ।
প্রশ্ন:- পশ্চিমবাংলার প্রথম কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীর নাম কী ?
উত্তর:- পশ্চিমবাংলার প্রথম কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীর নাম হল -
প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ।
প্রশ্ন:- কোন দলের এবং কে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম অকংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ?
উত্তর:- বাংলা কংগ্রেসের অজয় মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের প্রথম অকংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ।
প্রশ্ন:- কোন খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস দুটি দলে বিভক্ত হয়ে যায় ?
উত্তর:- ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস দুটি দলে বিভক্ত হয়ে যায় ।
প্রশ্ন:- কবে সারা ভারতে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয় ?
উত্তর:- ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে জুন সারা ভারতে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয় ।
প্রশ্ন:- অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে কবে থেকে কবে পর্যন্ত কোন সরকার ক্ষমতাসীন ছিল ?
উত্তর:- ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা সরকার অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতাসীন ছিল ।
প্রশ্ন:- ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনে কোন সরকার ক্ষমতায় আসে ? এই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নাম কী ?
উত্তর:- ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনে সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (UPA) সরকার বামপন্থী দলগুলির সমর্থনে ক্ষমতায় আসে । এই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ছিলেন - মনমোহন সিং ।
বি:দ্র: কোথাও ভুল থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন প্লিজ।)